রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মৃত শিক্ষিকাকে নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের গোদাগাড়ী চকপাড়া গাড়াবের বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মৃত স্কুল শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম (৫৫) গাড়াবেড় গ্রামের আব্দুল করিমের স্ত্রী। এমপিওভুক্তির কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু ও প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম দফায় দফায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন।
মৃত শিক্ষিকা রোকেয়া বেগমের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, রোকেয়া বেগম ১৯৯৮ সালে গোদাগাড়ী চকপাড়া গাড়াবেড় বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্তির কথা বলে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু তার কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সম্প্রতি তিনি বোর্ডে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন তার এমপিওভুক্তি হয় নাই। ইংরেজি শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দিলেও বোর্ডে গিয়ে দেখেন তাকে সমাজ বিজ্ঞান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বোর্ড থেকে ফিরে এসে তিনি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষের টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করায় বাড়িতে এসে টেনশনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তার লাশ এলাকায় আনা হলে স্বজনেরা লাশ নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কাজিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। স্কুলে একজন শিক্ষিকা নিয়োগ বৈধ হয়নি। তার কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হয়েছে। সেই শিক্ষিকা মারা গেছে। এ নিয়ে গ্যাঞ্জাম। ঘটনাস্থলে ইউএনও মহোদয় এসেছেন। এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ফরিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং মিমাংসা হয়ে গেছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত শিক্ষিকার স্বজনদের কথা এবং অভিযুক্তদের কথাও শোনা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অভিযুক্তদেরকে টাকা ফেরত দিতে সময় দেয়া হয়েছে।